মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত পাঁচ বছরে বেগুন চাষাবাদ করে যা লাভ করেছি, এবার তার দ্বিগুন লাভ হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে ৫০ শতক জমিতে বেড পদ্ধতিত্বে পার্পল কিং জাতের বেগুন চাষ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে, ইতোমধ্যে বিক্রি শুরু করেছি। গত সপ্তাহে ৪৪ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছে বলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ছাড়পহাটী ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের সফল বেগুন চাষি জাকিউল ইসলাম। ভাষ্য জমিটি উচু হওয়ার কারনে বৃষ্টি-বাদল তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। জমি তৈরি থেকে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে বেগুনের বাজার ভাল, সেই কারনে লোকসান হওয়ার কোন কারন নেই। তিনি আশা করছেন যদি কোন প্রাকৃতিক দুযোর্গ না হয় তাহলে তিন দুই হতে আড়ায় লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন।
দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মন্ডল বলেন, জাকিউল ইসলামের বেগুন চাষের জমিটি উচু। সে কারনে সামান্য বৃষ্টি-বাদল ফসলের তেমন ক্ষতি করতে পারে না। বেগুন চাষাবাদে সবসময় তাকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া তাকে বীজ, সার, কীটনাশক এমনকি বেগুন খেত রক্ষার জন্য নেট সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন হতে সবজি চাষাবাদ করে আসছেন। চলতি মৌসুমে বেগুনের বাজারদর ভাল হওয়ায় অনেক লাভবান তিনি। সবজির চাষাবাদ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৬০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বেগুন ১১৫ হেক্টর। তবে চলাঞ্চলে বেগুনের চাষাবাদ অনেক বেশি। ঘন ঘন বৃষ্টি-বাদলের কারণে স্থানীয় বেগুন বাজারে আসতে একটু দেরি হচ্ছ। ইতিমধ্যে স্থানীয় বেগুন বাজারে আসতে শুরু করেছে। দামও বেশ কমে গেছে। বর্তমানে বাজারে ৩৫ হতে ৪০ চাকা দরে বেগুন বিক্রি হচ্ছে।